রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। ক্যাম্পাসজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার, রাকসু ভবন সংস্কারের পর ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার কাজ চলছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে ভবনটি ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। দেওয়ালে দেওয়া হচ্ছে নতুন রঙের প্রলেপ, সাজানো হচ্ছে ভবনের আশপাশের পরিবেশও।
রাকসু ভবনে কর্মরত শ্রমিকদের একজন জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে কাজ শুরু করেছি। পুরো ভবনে রং দেওয়া হবে। আশা করি আগামীকাল সকালের ভেতর কাজ শেষ হয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন পর এ নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। রাকসু ভবন সংস্কার থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ও ভোটগ্রহণের সবদিকে রাখা হচ্ছে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ছয়জন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। রাকসুতে একজন প্রধান রিটার্নিং অফিসার ও ৬ জন রিটার্নিং অফিসার এ নির্বাচনের চালিকা শক্তি হিসেবে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। মোট ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার ৮৬০ জন প্রার্থীর পক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মোট ভোটারের ৩৯.১ শতাংশ নারী এবং ৬০.৯ শতাংশ পুরুষ।
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি ভোটকেন্দ্রে। কেন্দ্রীয় রাকসুর ২৩টি পদে ৩০৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যার মধ্যে রয়েছে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ। সিনেটে পাঁচটি পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে ১৭টি হল সংসদের ২৫৫টি পদে মোট ৫৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আরএএস/আরএইচ/জিকেএস