ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির অডিটোরিয়ামে নবীনবরণের আয়োজন করা হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়কে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে রক্তাক্ত জুলাইয়ের স্মৃতি বিজড়িত প্ল্যাকার্ড-পোস্টার, আল্পনা ও গ্রাফিতি এঁকেছে প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে টিএসএসসি পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় এসব প্ল্যাকার্ড-পোস্টারে ছেয়ে গেছে। এসব পোস্টারে জুলাইয়ের শহীদদের রক্তমাখা ছবি, শহিদ পরিবারগুলোর আকুতি, আন্দোলনের উদ্দীপ্ত চিত্র ও সাড়া জাগানো বিপ্লবী স্লোগান স্থান পেয়েছে। এছাড়াও এতে ভবিষ্যৎ দেশ সংস্কারের বার্তা ও শিক্ষার্থী সচেতন বিভিন্ন স্লোগান রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, এসব পোস্টার-স্লোগান, আল্পনা ও গ্রাফিতি দেখে নবীন শিক্ষার্থীরা জুলাই আন্দোলন ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। পোস্টারের স্লোগানই যেন জুলাই আন্দোলনকে জীবন্ত রূপ দিয়েছে। এমন উদ্যোগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি ভবিষ্যতে এমন আরো আয়োজন করবে প্রশাসন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, মূলত এ ধরনের পোস্টারের মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে জাগিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া স্বৈরাচারের দোসরদের ভয়াবহতাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা এসব ভুলে না যায়।
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, জুলাই আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের কারণে আমরা আজকের বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই জুলাই আন্দোলনকে ফুটিয়ে তুলতে ও নবীন শিক্ষার্থীদের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার জন্য সচেতন ও অনুপ্রেরণা দিতে আমরা এমন উদ্যোগ নিয়েছি।
মনজুরুল ইসলাম/আরএইচ/এএসএম