বিদায়ী নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এলেও দেশের ৯টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স, যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকও।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, নভেম্বর মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯। এর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, চারটি বেসরকারি ব্যাংক ও তিনটি বিদেশি ব্যাংক।
এ সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও।
এদিকে নভেম্বরে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮২ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬২ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; ১৭ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে এসেছে ৪৭ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ডলার; ১০ থেকে ১৬ নভেম্বর এসেছে ৬০ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; ৩ থেকে ৯ নভেম্বর এসেছে ৬১ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার; আর ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৪ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার।
এর আগে গত জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল।
তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।