নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে পুরোনো সীমানায় ভোটের দাবি সাবেক যুবদল নেতার

4 days ago 9

নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদীয় আসন পুরোনো সীমানায় ফিরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল খন্দকার খোরশেদ।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪, ৫ আসনের আপত্তি আবেদনেরও শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

শুনানি থেকে বেরিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল খন্দকার খোরশেদ বলেন, এখানে আমি প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলাম। আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে পাঁচটি ইউনিয়নকে কেটে সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ-৩) আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মানুষ রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভৌগোলিকভাবে বঞ্চনার শিকার হয়েছে। সেই বঞ্চনার কথা উপস্থিত কমিশনকে আমি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, এখন যদি একটা বিরাট অংশ বিভক্ত হয়ে সোনারগাঁওয়ের সঙ্গে চলে যায়। আমরা এতদিনে যেই নেতাকর্মী তৈরি করেছি তাদের মধ্যে অনেকে প্রার্থী আছে। আমরা সবার বঞ্চিত হব। সবচেয়ে বড় কথা নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নকে কেটে নেওয়া হচ্ছে। ফলে যে প্রশাসনিক অখণ্ডতার কথা বলা হয়েছে সেই অখন্ডতার বিষয়টা পুরোপুরি লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আশা করি অবশ্যই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তারা আমাদের দাবি পুনর্বিবেচনা করবে। নতুবা আমরা মনে করি আগামী যে নির্বাচন এই জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। যেখানে আমরা মনে করি যে এগুলো হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট করলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন:

এ সময় পূর্ব নির্ধারিত যে সীমানা ছিলো সেই সীমানায় নির্বাচনের দাবি জানায় সাবেক যুবদল নেতা।

অ্যাডভোকেট মোহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত পাঁচ আসনের ভিতরে তিনটি থানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর এখন বন্দরের একাংশ। তিনটি থানা নিয়ে আমাদেরকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।

তার দাবি, সিদ্ধিরগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে একটা ফুটবলের মত হয়ে গেছে। আমরা প্রথমে ছিলাম নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের, পরবর্তীতে গেছি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আর ২০০৮ সালের পরে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনে। এখন নতুন করে আমাদেরকে বলা হচ্ছে প্রস্তাবনা দেওয়া হচ্ছে যে আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সোনারগাঁয়ের সঙ্গে থাকতে। ২০০৮ সালে সোনারগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ মিলে আসন ছিল নারায়ণগঞ্জ-৩, তেমনি করতে হবে।

গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়। আর গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে করা হয় ছয়টি।বাগেরহাটবাসী আসন কমানোর ইসির কঠোর সমালোচনা করলেও উল্টোচিত্র গাজীপুরবাসীর।

আজ ঢাকা অঞ্চলের দাবি-আপত্তির শুনানি চলছে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ-১, ২, ৩; মুন্সিগঞ্জ ১, ২, ৩; গাজীপুর ১, ২, ৬; নরসিংদী-৩, ৪, ৫, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪, ৫; আড়াইটা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ১০, ১৪, ১৫, ১৬, ১৮ ও ১৯ আসনের শুনানি হবে।

এমওএস/এনএইচআর/এমএস

Read Entire Article