নারায়ণগঞ্জে দগ্ধদের সবার অবস্থা সংকটাপন্ন

6 hours ago 4

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের নারী-শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ সবার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক। 

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় প্রেস বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

এ সময় তিনি জানান, দগ্ধদের ৬ জনকে রাখা হয়েছে এইচডিইউতে। এর মধ্যে ৩ জনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। 

এর আগে, শুক্রবার (২২ আগস্ট) সাড়ে রাত ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি পূর্মুবপাড়া মুড়ি ফ্যাক্টরির গলি জাকির খন্দকারের টিনশেড বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে৷ তাদের সবাইকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।

অগ্নিদগ্ধরা হলেন- তাহেরা (৬৫), হাসান (৩৭), সালমা (৩০), মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪), রাইয়ান (১ মাস), আসমা (৩৫), তিসা (১৬) ও আরাফাত (১৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিদগ্ধদের প্রথমে উদ্ধার করে ভ্যান ও অটোরিকশার মাধ্যমে সাইনবোর্ডের প্রো অ্যাক্টিভ হাসপাতাল পাঠানো হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়৷ এরপর একজনকে ঢাকা মেডিকেলে এবং বাকি ৮ জনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে৷

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মামুন বলেন, অগ্নিদগ্ধ হাসানের শ্বশুর আব্দুর রশিদ এই বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে থাকতো৷ কিছুদিন আগে রশিদ মারা যায় কিন্তু তার তিন মেয়ে জামাই ও নাতি-নাতনিসহ তিনটি কক্ষে ভাড়া থাকত। এরমধ্যে দুটি কক্ষের সবাই অগ্নিদগ্ধ হয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতের শর্টসার্কিটের কারণে ফ্রিজের কমপ্রেসারের বিস্ফোরণের কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে৷

অগ্নিদগ্ধ তাহেরার ছোট বোন মরিয়ম কালবেলাকে বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিকট শব্দে ঘরের মধ্যে আগুন ধরে যায় এবং টিনের চালাও কিছুটা ছুটে যায়৷ অগ্নিদগ্ধদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর৷ অগ্নিদগ্ধদের সবার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্ধারের দলাশ গ্রামে।

আদমজী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মীরন মিয়া বলেন, বিদ্যুতের শর্টসার্কিটের কারণে ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনুর আলম কালবেলাকে বলেন, ঘটনা তদন্ত না করে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
 

Read Entire Article