নারী চিকিৎসক দিয়ে নারীদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জুয়েল আজাদ রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন।
সোমবার (১০ মার্চ) রিট দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেন আইনজীবী মো. জুয়েল আজাদ।
রিটে নারী চিকিৎসক ও প্যারামেডিকস দিয়ে নারী মরদেহের ময়নাতদন্ত/পোস্টমর্টেমের জন্য নীতিমালা তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা পর্যায়ে নারী মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নারী কর্মীদের সঙ্গে নারী চিকিৎসক নিয়োগে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) (সাধারণ শিক্ষা) বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ মার্চ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়। পরে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী মো. জুয়েল আজাদ বলেন, পাকিস্তানসহ অনেক দেশে নারীর মরদেহের ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের দেশেও নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন বলে একজন সাবেক বিচারপতি আর্টিকেল লিখেছেন। এ ছাড়া সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বিবেচনায় নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত একজন নারী চিকিৎসক দিয়ে করাই বাঞ্ছনীয়। এসব কারণে আমরা নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত নারী চিকিৎসক দিয়ে করানোর ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা তৈরি করতে স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সে বিষয়ে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট ফাইল করেছি।
রিটের বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।
এফএইচ/এএমএ/এএসএম