নারীদের বীজ তৈরি এবং সংরক্ষণের জ্ঞান অনেক বেশি সমৃদ্ধ
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, নারীদের বীজ সংরক্ষণের যে ঐতিহ্য তা বিলুপ্ত হয়ে সেখানে জায়গা করে নিয়েছে প্যাকেটজাত বীজ। কিন্তু নারীরা চায় প্রকৃতিকে রক্ষা করতে। নারীদের বীজ তৈরি এবং সংরক্ষণের জ্ঞান অনেক বেশি সমৃদ্ধ।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় নারী আন্দোলন ও মানবাধিকার কর্মী, নারীপক্ষ’র প্রয়াত সদস্য নাসরীন হক এর জন্মতিথি উপলক্ষে নারীপক্ষ’র আয়োজনে আন্তর্জালে ‘প্রাণবৈচিত্র্য, বীজ ও নারী অধিকারের চার দশক’ শীর্ষক ‘নাসরীন হক স্মারক বক্তৃতা’য় একথা বলেন লেখক, গবেষক, আন্দোলনকর্মী ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এ ছাড়া তিনি বলেন, নয়াকৃষি আন্দোলন শুরু করার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে প্রাণবৈচিত্র, বীজ ও ফসলের বৈচিত্র্যতা ধরে রাখা। দেশীয় বীজ সংগ্রহ, রক্ষা ও পুনরুৎপাদন নয়াকৃষির কর্মতৎপরতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। একটি ফসল অনেক জায়গা জুড়ে চাষাবাদ করে জমির উর্বরতা নষ্ট না করে বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে মাটির পুষ্টিগুন বজায় রাখতে হবে এবং আমাদের সংস্কৃতির মাঝে যে বৈচিত্রতা আছে তা টিকিয়ে রাখতে হবে। আর এক্ষেত্রে নারীদের অবদানকে অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরও বলেন, বাংলাদেশ কৃষি ও প্রাণসম্পদে প্রাচুর্যপূর্ণ একটি দেশ। আমাদের রয়েছে বৈচিত্রপূর্ণ কৃষি ব্যবস্থার দীর্ঘ ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জ্ঞানভান্ডার। আধুনিক কৃষির নামে ‘সবুজ বিপ্লব’ এর মারফতে রাসায়নিক উপকরণ, কীটনাশক, উচ্চফলনশীল বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাণী কীটপতঙ্গ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বৈচিত্রপূর্ণ কৃষিব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা সম্পর্কিত স্বাগত বক্তব্য দেন, নারীপক্ষের নির্বাহী সদস্য ও প্রাক্তন সভানেত্রী ফিরদৌস আজীম।
প্রশ্নত্তোর পর্ব ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। প্রশ্নত্তোর পর্ব সঞ্চালনা করেন নারীপক্ষের সদস্য কামরুন নাহার। উক্ত আলোচনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আন্তর্জাল এবং সরাসরি মোট ৩০০ জন উপস্থিত ছিলেন।