ফ্যাশন আইকন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন কোরিওগ্রাফার এডলফ খান। স্টাইলিশ পোশাক ও সাজসজ্জার কারণে সহজেই আলাদা করা যায় তাকে। সম্প্রতি ‘সেরা স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টর’ হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। ছড়িয়ে পড়েছে, ‘সুদর্শন পুরুষ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন তিনি।
নিজের ছবি ও ভিডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাতামাতিতে হতাশ ও বিরক্ত এডলফ খান। সম্প্রতি বাবা হারিয়েছেন তিনি। বাবার জানাজার ভিডিও নিয়েও উপহাস করা হয়েছে তাকে। বিষন্ন একাকী এডলফ এবার নিজেকে দেখাশোনার লোক খুঁজছেন। আজ (৪ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন কী কী যোগ্যতা থাকলে তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেবেন তিনি।
এডলফ খান লিখেছেন, ‘আমার বর্তমান কাজের পরিধি ঘিরে, সমস্ত কিছুর ব্যবস্থাপনার জন্য, শুটিং এবং ইভেন্ট সংক্রান্ত শিডিউল ও যাবতীয় কার্যক্রম, আমাকে দেখাশোনার জন্য, আমার টিমে যোগ্যতাসম্পন্ন কিছু লোক নিয়োগ দেয়া হবে।’
এডলফ খানের টিমে কাজ করার যোগ্যতা কী? তিনি জানিয়েছেন, ‘শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্র, দায়িত্বশীল, সাহসী এবং পজিটিভ মাইন্ডের স্মার্ট, কাজপাগল তরুণরা যোগাযোগ করুন! কাজের বিবরণ এবং বেতন আলোচনাসাপেক্ষ।’
ঢাকায় বড় হওয়া এডলফ দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি করেছেন। কিছুদিন কাজ করেছেন একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে। ২০০৮ সালে র্যাম্প মডেল বুলবুল টুম্পার গ্রুমিং স্কুলের মাধ্যমে মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। এরপর র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজের পাশাপাশি ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করে আসছেন। বেশ কিছু ফ্যাশন ব্র্যান্ডের হয়ে বিলবোর্ড মডেল হিসেবে দেখা গেছে তাকে।
বেশকিছু পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন এডলফ খান। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ স্মরণে স্পেশাল শো, স্ট্রিট চিলড্রেন শো, ব্রাইডাল শো, বাংলালিংক ফ্যাশন শো, পারসোনা শো এবং র্যাম্প অন দ্য স্ট্রিটসহ বেশকিছু র্যাম্প শোতে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
বেশকিছু টিভিনাটকেও অভিনয় করেছেন এডলফ। আবু সাইয়ীদের ‘জীবনমৃত্যু’, পার্থ সরকারের ‘আমাদের শার্লক হোমস’, নরেশ ভূঁইয়ার ‘নীল অপরাজিতা ও উইপোকা’ সেসবের উল্লেখযোগ্য।
এমআই/আরএমডি