আদালতের আদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)। নির্বাচনে প্রতীক হিসেবে দলটি ব্যবহার করবে ‘ফুলকপি’।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের (রিট ৬৪৩১/২০২৩) গত ১২ ডিসেম্বর প্রদত্ত রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। দলটির প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে ফুলকপি। নিবন্ধন নম্বর ৫৪।’
নির্বাচন কমিশন বিডিপি’কে নিবন্ধন না দেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেছিলেন দলটির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম।
- আরও পড়ুন
সংস্কার আলোচনা যত দীর্ঘ হবে দেশ তত সংকটে পড়বে: তারেক রহমান
নির্বাচন ছাড়া অন্য বিষয়ে সরকারের আগ্রহ সন্দেহজনক: গয়েশ্বর
১২ ডিসেম্বর রায় ঘেষণার পর দলটির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৩ সালের ২৫ মে আমরা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করি। আমাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে কেন নিবন্ধন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০২৩ সালের ২৩ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে বিডিপি’কে নিবন্ধন দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। কিন্তু ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৩টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য এবং জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ইসি যোগ দেওয়ার পর আদালতের আদেশে বিডিপি নিবন্ধন পেলো। এ নিয়ে এখন নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৯টি।
এমওএস/কেএসআর/জেআইএম