নির্ধারিত সময়েও দেওয়া হয়নি ভোটার তালিকা

2 hours ago 7
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। সূচি জেনেই আগে আগে বিসিবিতে এসেছিলেন পরিচালকরা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ১১ মিনিট পরই তারা জানতে পারেন, আড়াই ঘণ্টার জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বোর্ড সভা। এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন পরিচালকরাও। তবে উপায় না পেয়ে ৯টায় বৈঠকে বসতে হয়েছে তার। বোর্ড সভার সঙ্গে সঙ্গে পিছিয়ে গেল নির্বাচনী তপশিলে দেওয়া খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের সময়ও। সভা ঠিকই হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরও প্রকাশ হয়নি ভোটার তালিকা।  বিসিবির দেওয়া সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কাউন্সিলরের নাম জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু দেখা গেল রাত ৯টাও জমা পড়েছিল একটি ক্লাবের কাউন্সিলরের নাম। বিসিবি নির্বাচনে রেঞ্জার্স ক্রিকেট ক্লাব থেকে কাউন্সিলরশিপের আবেদন জমা দেন সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। নির্ধারিত সময়ের পর তার দেওয়া এই আবেদনপত্র জমা হবে কি না—সে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি বোর্ড।  বিসিবির সভা শেষে  মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের পর যতগুলো আবেদন এসেছে, সেখানে সময় লিখে দিয়েছি। কোন আবেদন কখন এসেছে, সেভাবেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’  তবে বোর্ড সভার কারণে ভোটার তালিকা প্রকাশের যে বিলম্ব হলো তার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেবে সিইসি এমনটাই বলেছেন তিনি।  আগামী ৬ অক্টোবর হতে যাচ্ছে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত তপশিল অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল কাউন্সিলরের তালিকা৷ কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সেটা আর পাওয়া যায়নি। বোর্ডের একাধিক পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো উত্তর মেলেনি। তবে প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম বুলবুলই এর উত্তর বলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন পরিচালক। যদিও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অবশ্য এই তালিকা পেতে বার বার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি যে একক ক্ষমতা বলে নিয়েছিলেন বুলবুল, সেটা আর অস্পষ্ট রইলো না। বোর্ড পরিচালকদের মতামত ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত আসে তার কাছ থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক জানিয়েছেন, এসব প্রেসিডেন্ট তার একক ক্ষমতাবলে করতেছেন। এখানে আমাদের কিছু বলারও নেই। তবে আমরা এগুলো নিয়ে দু-একদিন পরই কথা বলা শুরু করব। বিসিবি নির্বাচনে সব কয়টি ক্লাবই ভোট দিতে যাচ্ছে। ৭৬টি ক্লাবকেই কাউন্সিলর পাঠাতে চিঠি দেয় বিসিবি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পর্যবেক্ষণে থাকা ১৪ ক্লাবকেও এমন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন বিসিবি আইনী পরামর্শক ব্যারিস্টার মাহিন রহমান। তিনি বলেছেন, ‘অপরাধ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা নেই তাদের। সেক্ষেত্রে সব ক্লাবই আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর পাঠাতে পারবেন এবং সবাই ভোট দিতে পারবেন।’
Read Entire Article