বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ১৪ মাসেও সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচন করার মতো ফিটনেস তৈরি করতে পারেনি। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলতে চাই, এই সংস্কার, বিচার এবং পরবর্তী যে ধাপ সেটির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নেন। নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় নেন, ভোটারদের আস্থায় নেন। সরকারে পক্ষপাতদুষ্টতা থাকার কোনো কারণ নাই। যে সরিষা দিয়ে আমি ভুত তাড়াবো, সেই সরিষার মধ্যে যদি ভূত থাকে তাহলে কিন্তু এই সরকারের পক্ষ থেকে ভালো নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হবে না।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘রাজনীতির বর্তমান এবং ভবিষ্যত পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, দেশের ভেতরে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে, আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অপতৎপরতা চলছে। যেখানে অভ্যুত্থান, সরকার এবং আমাদের জুলাই সনদ—সবকিছুকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য খুব সচেতনভাবে অনেক শক্তি কাজ করছে। আগামী নির্বাচন কোনোভাবে যদি প্রলম্বিত হয় তাহলে অনেকগুলো সমস্যা তৈরি হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, যারা অভ্যুত্থানের অক্সিজেন বলে নিজেদের দাবি করতে চান, এক কথায় যদি মনে করেন,সবটা আপনি অর্জন করবেন এটা কোনো বৈজ্ঞানিক চিন্তা না। এটা কোনো ভালো চিন্তা না। এরকম চিন্তাটা খুবই বিপদজনক চিন্তা।
সাইফুল হক বলেন, আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করবে না, কথাটা সত্য। তবে গণতান্ত্রিক একটা দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিমূলক, ভারসম্যমূলক, প্রধানমন্ত্রীর অগণতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামোর একটা মৌলিক পরিবর্তন হবে। রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের যে মূল বৈশিষ্ট্য, সেই বৈশিষ্ট্য দিয়ে একটা ভারসম্যমূলক ক্ষমতার দিকে বাংলাদেশ হাঁটবে। আগামী নির্বাচন যদি তুলনামুলক অবাধ, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় তাহলে অভ্যুত্থানের যে অর্জন তা অনেকখানি আমরা রক্ষা করতে পারব।
এমএইচএ/এমএমকে/এএসএম

2 hours ago
6









English (US) ·