নির্বাচন দিতে দেরি হলে আবারও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেন, দেরি করলেই ষড়যন্ত্র শুরু হবে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নবীন দলের উদ্যোগে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, সরকারের কাছে সবাই দাবি চায়। তবে এমন কোনো দাবি করা উচিত নয়, যাতে জনগণের মনে অশান্তি সৃষ্টি হয়। দুই হাজারের উপরে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে আমাদেরকে কথা বলার অধিকার দিয়েছে। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে এখন কথা বলার সময় নয়।
এই সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। যে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন। তারা তাদের ভোট দিতে পারবেন। তাদের পছন্দমত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারবেন। তাই আর দেরি নয়। দেরি করলেই ষড়যন্ত্র শুরু হবে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনে ব্যবস্থা করুন। আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) সংস্কার করুন। তবে এমন সংস্কার করবেন না যাতে নির্বাচন দেরি হয়ে যায়।
ফারুক বলেন, তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখনও কেনো তারেক রহমান দেশে আসতে পারেনি। এখনও কেনো তার নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হলো না? জনগণের সামনে এ প্রশ্ন জেগে উঠেছে। তাই সরকারের কাছে প্রত্যাশা তারেক রহমানসহ যাদের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে, সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তো আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) বিরোধী না। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করতে চাই। সরকারের কাছে আমাদের দাবিও রয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ওপর যে জুলুম নির্যাতন করেছে। হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়েছি। কবরস্থানে ঘুমিয়েছি। সেখানেও পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করেছে, জুলুম নির্যাতন করেছে। তাই এ সরকারের দোসররা যারা এখনো বাংলাদেশে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ সহ প্রমুখ।
কেএইচ/এসআইটি/এমএস