আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে কথা বলেছেন, সেটি ইতিবাচকভাবে দেখেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তবে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে যেটি বলা হয়েছে সেটি আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম যেগুলো আছে সেগুলো যদি পরিপূর্ণভাবে সমাপ্ত করা হয়, তাহলে আরও গোছালোভাবে নির্বাচনের দিকে যাওয়া সম্ভব হবে।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে আশাবাদী কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হতে হবে। সেই নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। সেই নির্বাচনের সময়সীমা ফেব্রুয়ারিতে বলা হয়েছে। এর আগেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সম্ভব। এরআগেই মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করা সম্ভব। এরআগেই আইশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কারের এজেন্ডাগুলো নিয়ে আলেচনা চলছে। এটিকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার একটা পথ আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সঠিক তারিখ বলতে পারেন না জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘এটার আইনগত বাধানিষেধ আছে। এটা নির্বাচন কমিশনই বলতে পারে। তিনি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের যে কথা বলেছেন, সেটা তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বলে আসছেন। আমরা মনে করি, এই নির্বাচনের যে অঙ্গীকার, তার সঙ্গে সংস্কার এবং বিচারকে একীভূত করে তারপরই যেন সরকার এই সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হয়। সে বিষয়টিকে প্রধান করে দেখার পক্ষপাতি।’
উচ্চকক্ষে পিআর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এনসিপি শুরু থেকেই উচ্চকক্ষে পিআর চায়। আমরা নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষপাতিত্ব নই। সংবিধানের ক্ষেত্রে যাতে একদলীয় পরিবর্তন সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে উচ্চকক্ষের একটা ভূমিকা থাকবে। সে হিসেবে উচ্চকক্ষে যেন পিআর পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচন হতে পারে, সে দাবি আমরা সরকারের কাছে করেছি।’
আইএইচআর/এসআর