নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি

2 weeks ago 7

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের পরিবারকে মোট সাত কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এর মধ্যে সরকারের কাছে পাঁচ কোটি ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা।

একই সঙ্গে আহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারের পক্ষ থেকে এক কোটি এবং স্কুলের পক্ষ থেকে এক কোটি করে মোট দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবকরা।

রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশপথে ব্রিফিংয়ে তারা এ দাবি জানান।

এর আগে কলেজের অধ্যক্ষ এবং উপদেষ্টা বরাবর আট দফা দাবিতে অভিভাবকরা স্মারকলিপি দিতে চাইলে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে তা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।

নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি

অভিভাবকদের আট দফা দাবি

১. বিমান দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

২. সারাদেশে মাইলস্টোন স্কুলসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।

৩. সরকারের পক্ষ থেকে নিহত প্রতি বাচ্চার জন্য পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) এবং আহত প্রত্যেকের জন্য এক কোটি টাকা দিতে হবে।

আরও পড়ুন

৪. স্কুলের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহত বাচ্চার জন্য ২ কোটি এবং প্রতি আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।

৫. রানওয়ে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থান পরিবর্তন করতে হবে (অন্যথায় রানওয়ের স্থান পরিবর্তন করতে হবে)।

৬. কোচিং ব্যবসার মূল হোতা স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষিকাকে (মিস খাদিজা) ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।

৭. স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমাদের দেখাতে হবে।

৮. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা জনহীন জায়গায় করতে হবে।

এদিকে, আগে থেকে অনুমতি নিলেও এদিন দুপুর ১২টার দিকে অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। পরে নিরাপত্তা প্রহরীদের বাধা উপেক্ষা করে তারা জোর করে স্কুলে প্রবেশ করে কনফারেন্স রুমে যান। সেখানে অধ্যক্ষসহ কলেজের শীর্ষ কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করলেও কর্তৃপক্ষ স্মারকলিপি নিতে রাজি হয়নি।

অভিভাবকরা জানান, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি নিয়েই তারা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সামনে স্মারকলিপি নিতে আগ্রহী নয়। আর অভিভাবকেরা চান সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই তারা স্মারকলিপি দেবেন ও কর্তৃপক্ষের আশ্বাস শুনবেন।

তবে কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি না হওয়ায় স্মারকলিপি না দিয়েই ফিরে যান সন্তানহারা অভিভাবকরা।

এএএইচ/ইএ/এমএস

Read Entire Article