নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নিয়ে আন্দোলনকারীদের মতপার্থক্য

1 day ago 3

নেপালের বিদ্যুৎ সংকট কাটিয়ে তোলার জন্য বিখ্যাত প্রকৌশলী কুল মান ঘিসিং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারেন বলে জোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পর নতুন এই জল্পনা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ‘জেন জেড’ আন্দোলনকারী দল জানায়, অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদে কুল মান ঘিসিং ছাড়াও কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহ ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম বিবেচনায় আনা হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের ছয় ঘণ্টার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে এই আলোচনা হয়।

তবে ঘিসিংয়ের নাম চূড়ান্ত হওয়াটা অনেকের কাছেই চমকপ্রদ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে। বর্তমানে সেনাবাহিনী অস্থায়ীভাবে দেশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ঘিসিংয়ের সম্ভাব্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীদের মধ্যে মতপার্থক্যের খবরও সামনে এসেছে। জানা গেছে, আন্দোলনকারীদের প্রথম পছন্দ ছিলেন বালেন শাহ। তবে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানান। তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় এই র‍্যাপার মেয়র সামাজিক মাধ্যমে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।

এরপর আন্দোলনকারীরা কার্কির নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু আন্দোলনের একাংশ আবার কার্কিকে প্রত্যাখ্যান করে। তাদের যুক্তি, সংবিধান অনুযায়ী সাবেক বিচারপতিরা প্রধানমন্ত্রীর পদে আসতে পারেন না এবং ৭৩ বছর বয়সী কার্কি নেতৃত্বের জন্য অতিরিক্ত বয়স্ক।

এদিকে, অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগেই সেনাবাহিনী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেল শপথ গ্রহণ করাবেন বলে জানা গেছে।

নেপালের ২০১৫ সালের সংবিধান অনুযায়ী, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখান থেকেই নেতৃত্ব আসার কথা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে প্রেসিডেন্ট যেকোনো এমপিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারেন, যাকে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পাশ করতে হবে। ব্যর্থ হলে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হতে পারে।

অন্যদিকে, শান্তি বজায় রাখতে কাঠমান্ডুর রাস্তায় এখনও টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন এক হাজার ৩০০ জনের বেশি। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবন এবং ঐতিহাসিক সিংহ দরবারেও হামলা চালিয়েছেন, যেখানে সরকারি দপ্তরগুলো অবস্থিত।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএসএম

Read Entire Article