ফরিদপুরে অটোরিকশাচালক ফরহাদ প্রামাণিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মো. সুমন শেখ (২১) ও রেজাউল করিম মিন্টু (৪২) নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতার সুমন শেখ। তিনি জানান, নেশার টাকা জোগাড় করতে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করা হয়।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হলরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, অটোরিকশাচালক ফরহাদ প্রামাণিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতার সুমন শেখ। হত্যার দিন সুমনসহ তিনজন ফরহাদের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা ফরহাদকে দুর্গাপুর এলাকায় নিয়ে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে। মূলত সুমন নেশার টাকা জোগাড় করতেই ফরহাদকে হত্যা করেন। পরে অটোরিকশা ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, রাজবাড়ীর সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামের ছাত্তার প্রামাণিকের ছেলে ফরহাদ প্রামাণিক ৩০ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাতভর তাকে খুঁজতে থাকে ফরহাদের পরিবার ও স্বজনরা।
৩১ জানুয়ারি দুপুরে সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর কাচারীরটেক এলাকার একটি পুকুরপাড়ে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ফরহাদের মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ফরহাদের বাবা ছাত্তার প্রামাণিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডর মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দঘাট এলাকা থেকে প্রথমে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে এক ভাঙারি ব্যবসার প্রতিষ্ঠান থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাসহ ৪টি ব্যাটারি উদ্ধার এবং মিন্টুকেও গ্রেফতার করা হয়।
এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/জেআইএম