চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে নগরের ১০৬টি বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থীকে বই পড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমরাই দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত, সুন্দর ও সার্বভৌম আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সমাজে অবক্ষয় হয়েছে নৈতিক শিক্ষার অভাবে। আমরা বই পড়ে জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করবো। এতে নৈতিক উন্নয়ন ঘটবে এবং রাষ্ট্রও এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. আবদুন নূর তুষার, গ্রামীণফোনের রিজিওনাল হেড মোরশেদ আহমেদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চট্টগ্রাম শাখার সংগঠক অধ্যাপক আলেক্স আলিম, জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনের সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব শামীম আল মামুন প্রমুখ।
পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের আনন্দে বাঁচতে হবে, আর আনন্দের জন্য বই পড়তে হবে।
গ্রামীণফোনের রিজিওনাল হেড মোরশেদ আহমেদ বলেন, তরুণদের জ্ঞানের বিকাশ এবং মানসিক উৎকর্ষের জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
সভাপতির বক্তব্যে শামীম আল মামুন বলেন, যারা বই পড়ে তারাই দয়ালু ও বিবেকবান হয়। তাই আমরা যতদিন বেঁচে থাকব, বই পড়ব।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় দিনব্যাপী উৎসবের। অনুষ্ঠানে ৯০টি বিদ্যালয়ের ৫ হাজার ৩৮০ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মঞ্চে এসে পুরস্কার গ্রহণ করে। এছাড়া ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষে তাদের শিক্ষক ও সংগঠক পুরস্কার নেন। এবারের আয়োজনে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৪ হাজার ৫০ এবং ছাত্র এক হাজার ৩৩০ জন। তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ৩ হাজার ৯১ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার এক হাজার ৯২৪ জন, অভিনন্দন পুরস্কার ৮৮২ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ১৩১ জন।
এমআরএএইচ/এমএমকে/এএসএম