নোমান আলির ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে নাকাল হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রোটিয়া ব্যাটাদের সর্বনাশের শুরুটা করেছিলেন স্পিনার নোমান আলি। তবে, ম্যাচের চতুর্থ দিন এসে নোমানের সঙ্গে যুক্ত হলেন পেসার শাহিন আফ্রিদি। ৮টি উইকেট ভাগ করে নিলেন তারা দু’জন। দক্ষিণ আফ্রিকাও অলআউট হয়ে গেলো ১৮৩ রানে। ৯৩ রানের ব্যবধানে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করলো পাকিস্তান।
লাহোর টেস্টে জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৭ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষ অংশে মাত্র ১৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল প্রোটিয়ারা। দুটিই নিয়েছিলেন নোমান আলি।
চতুর্থ দিনের শুরুতেই শাহিন আফ্রিদি প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান টনি ডি জর্জির উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পরাজয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এরপর নোমান আলি, আফ্রিদি এবং সাজিদ খান মিলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ করে দেন ৬০.৫ ওভারে। প্রোটিয়া ব্যাটার ডেওয়াল্ড ব্রেভিস একাই লড়াই করেছিলেন। সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন তিনি। আর ওপেনার রায়ান রিকেলটন করেছিলেন ৪৫ রান।
এছাড়া কাইল ভেরাইনি ১৯, টনি ডি জর্জি ১৬ রানে আউট হন। সিমোন হারমার করেন অপরাজিত ১৪ রান। ৪টি করে উইকেট ভাগ করে নেন নোমান আলি এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাকি ২ উইকেট নেন সাজিদ খান।
লাহোরে টেস্টের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করেছিল ৩৭৮ রান। ইমাম-উল হক এবং সালমান আগা সমান ৯৩ রান করে আউট হন। প্রোটিয়া স্পিনার সেনুরান মুথুসামি নেন ৬ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকা টনি ডি জর্জির ১০৪ এবং রায়ান রিকেলটনের ৭১ রান সত্ত্বেও ২৬৯ রান করে অলআউট হয়ে যায়। নোমান আলি নেন ৬ উইকেট। সাজিদ খান নেন ৩ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান অলআউট হয় ১৬৭ রানে। প্রোটিয়া স্পিনার সেনুরান মুথুসামি এই ইনিংসেও নেন ৫ উইকেট। ম্যাচে এই প্রথম ১০ বার তার বেশি (১১টি) উইকেট নিলেন মুথুসামি। কিন্তু তার এই বোলিং কাজে লাগলো না দক্ষিণ আফ্রিকার।
জয়ের জন্য ২৭৭ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। জবাবে ১৮৩ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। নোমান আলি দুই ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে দলকে জয় এনে দেয়ার পাশাপাশি জিতে নিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
আইএইচএস/