নোয়াখালীতে তিন ঘণ্টায় ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে জেলা শহর মাইজদীর সবগুলো সড়ক ডুবে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টির এই তথ্য দেন জেলা আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, টানা তিন ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ পর্যন্ত বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নোয়াখালী পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড ও জেলার প্রধান সড়কের আশপাশের এলাকা, হাসপাতাল সড়ক, মাইজদী বাজার, লক্ষীনারায়ণপুর, ফকিরপুর, হাউজিং, কৃষ্ণরামপুর, হরিনারায়ণপুর, উত্তর সোনাপুরসহ বেশিরভাগ সড়কেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত বছর ভয়াবহ বন্যায় নোয়াখালী জেলাশহর মাইজদীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার পরও প্রশাসনের উদ্যোগে দখলকৃত খাল পুনরুদ্ধার না করা, অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং সময়মতো খাল ও ড্রেন সংস্কারের অভাবে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
মো. আবদুর রহিম নামের হরিনারায়ণপুরের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, গত সপ্তাহে পৌরসভার খালের কিছু অংশে ময়লা আবর্জনা তুলে তা খাল পাড়েই রেখে যাওয়ার পর ঝড়ো বৃষ্টিতে তা আবার খালের পানিতেই মিশেছে। এতে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে নোয়াখালী পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জালাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, পৌর প্রশাসকসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে একাধিকবার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের জনবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাব। তাই জরুরি ভিত্তিতে কী করা যায় সেই চেষ্টা করছি।
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/জেআইএম