নোয়াখালীতে পুকুরে দেখা প্রাণীটি কুমির নয় গুইসাপ

2 months ago 7

নোয়াখালীর হাতিয়ার একটি পুকুরে কুমিরের মতো প্রাণী দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। তবে দুদিন অনুসন্ধানের পর বনবিভাগের দাবি এটি কুমির নয় বড় আকারের গুইসাপ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে জেলা উপকূলীয় বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহীম খলিল ঘটনাস্থল থেকে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘বুধবার কুমির দেখার বিষয়টি স্থানীয় রেঞ্জ অফিসে জানলে তারা পরিদর্শন করেন। পরে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আমি এবং জেলা সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম আরিফ-উজ-জামান ঘটনাস্থলে যাই। ১০ জন জেলে দিয়ে তিনঘণ্টা জাল ফেলেও কুমিরের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।’

নোয়াখালীতে পুকুরে দেখা প্রাণীটি কুমির নয় গুইসাপ

মো. ইব্রাহীম খলিল আরও বলেন, ‘যে পুকুরে কুমির দেখার কথা বলা হচ্ছে তার চারপাশ ঘেরাও দেওয়া। এখানে জলজ কোন প্রাণী ঢুকা বা বের হওয়া সম্ভব নয়। মনে হয় বড় ধরনের গুইসাপ দেখে লোকজন কুমির ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আশা করি তেমন কোনো ভয় নেই।’

এর আগে বুধবার (২৫ জুন) হাতিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদুল ইসলাম শরীফের বাড়ির পুকুরে ওই প্রাণীটিকে দেখা যায়। এসময় উৎসুক অনেকে ভিডিও করে তা ফেসবুকে আপলোড করে।

নোয়াখালীতে পুকুরে দেখা প্রাণীটি কুমির নয় গুইসাপ

মাসুদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিনদিন আগ থেকে পাশের বাড়ির লকড়ি রাখার ঘরে প্রথম কুমিরটি দেখা যায়। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করলে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদের বাড়ির পুকুরে সেটি নেমে যায়। সেখান থেকে বুধবার সকালে আমাদের পুকুরে আসে।’

তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার রাতে কুমির আতঙ্কে ওই এলাকার কোনো লোক ঘুমাতে পারেনি। এখনও আতঙ্কে পুকুর এলাকায় নারী-শিশুদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম আরিফ-উজ-জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘পুকুরে কুমিরের দেখা মেলেনি। তারপরও জরুরি প্রয়োজনে নলচিরা রেঞ্জ কর্মকর্তা আল আমীন গাজীকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/জেআইএম

Read Entire Article