বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী-জনতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মীদের দখলে ছিল পঞ্চগড় শহর। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে এক দফা দাবিতে মিছিল স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শহরজুড়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষুব্ধরা জেলা শহরের শেরে বাংলা পার্কে পঞ্চগড়-ঢাকা জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে বিচ্ছিন্নভাবে তারা লাঠিসোটা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রেজিয়া ইসলাম, তার ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আল তারিক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উজ্জ্বল, কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, হাসনাত মো. হামিদুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতার বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন ৷ একপর্যায়ে রওশনাবাগ এলাকার পুলিশ সদর সার্কেল অফিসেও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা।
এর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন উপজেলা শহরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় তারা সংবাদকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়াসহ লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আন্দোলনের ছবি তোলার অভিযোগে বিকেলে তারা পঞ্চগড় প্রেসক্লাবেও ভাঙচুর ও হামলা চালান। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। বিকেল ৪টার দিকে শান্ত হন বিক্ষুব্ধরা। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি যাতে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। নাশকতাকারীদের বড় পরিকল্পনা ছিল। এখন পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল চলছে।
সফিকুল আলম/এসআর