পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কমছে শীতের তীব্রতা। হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই হিমেল হাওয়ায় ঠান্ডা অনুভূত হয়। তবে গত দুদিনের তুলনায় আজ কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। কারণ, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রোববার সকালে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এতে করে তাপমাত্রা আরও ৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দিয়েছে সূর্য। শুক্রবারের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রমজীবীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে। শীতের মাত্রা কমে যাওয়ায় বিভিন্ন প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ততা বেড়ে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে উত্তরের জনপদে। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে এবং নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে।
তবে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে গত কয়েকদিন ধরে আগের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল রোববার ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।