হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। ফলে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬-৮ কিলোমিটার। যা শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয় হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশা। এতে অনুভূত হতে থাকে কনকনে শীত। দিনভর উত্তরের হিমেল বাতাস থাকায় ছড়াতে পারেনি সূর্যের তীব্রতা। এতে কমে যায় দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান। বিশেষ করে উত্তর হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা থাকায় শীতে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের এই জনপদের মানুষ। শীতের দাপট বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে রোগীর চাপ বেড়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃদু শৈত্য প্রবাহে কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রোববার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬-৮ কিলোমিটার। যা গতকাল ৯টায় দশমিক ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।