উত্তর হিমালয় অঞ্চলের থেকে বয়ে আসা কনকনে বাতাস আর কনকনে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা একদিনের ব্যবধানে ১৪ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে গেছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি ধরনের কুয়াশাও পড়ছে, একইসঙ্গে কনকনে ঠান্ডা বাতাস অব্যাহত রয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ৮৭ শতাংশ ছিল। বাতাসের প্রতি ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার।
এদিকে সকাল বেলা রোদের দেখা মিললেও বিকেলের পর থেকে উত্তরের হিমেল ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে শীত অনুভূত হতে থাকে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা প্রকৃতি। কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। তবে শীত উপেক্ষা করেই সকালে বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীদের কাজে যেতে দেখা গেছে। নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন পর পর আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতভর প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভব হয়েছে। এ অঞ্চলে দিনের তুলনায় রাতে শীত অনুভূত হয় বেশি।
এদিকে উত্তরের এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ রোগী। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ৮৭ শতাংশ ছিল। যা বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
তবে গত কয়েকদিন থেকেই এ জেলায় তাপমাত্রা ১৪ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। বিশেষ করে হিমালয় বিধৌত এলাকায় এ জেলাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে, সামনে আরও কমতে পারে।