রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন-২০২৫ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আমজাদ হোসেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে অধ্যাপক ড. এম আমজাদ হোসেন নিজেই নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ২০ আগস্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে পিএসসি মেম্বার হিসেবে নিয়োগ দেন। আমি সেদিনই রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ও ভিসি স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকায় পদত্যাগপত্র পাননি। উনি আজ পদত্যাগপত্র পেয়েছেন।
রাকসু নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাকে করা হবে, প্রশ্নোত্তরে তিনি জানান, এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঠিক করবে। হয়তো বাকি নির্বাচন কমিশনার সদস্যদের মধ্যে থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশন করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন
বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের থেকে সরকারি আদেশে উনাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে হিসেবে উনি অটোমেটিকলি আর থাকলেন না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঠিক না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের মধ্যে সিনিয়র যারা আছেন তারা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনী কোনো কার্যক্রমই থেমে থাকবে না। মনোনয়নপত্র বিতরণ নির্ধারিত সময়েই শুরু হবে। এ নিয়ে কমিশনের সিনিয়র কয়েকজন কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, আজকের মধ্যেই হয়ত উপাচার্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনে যারা আছেন তাদের সঙ্গে আলোচন করে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে হবেন তা নির্ধারণ করবেন।
গত ২০ আগস্ট বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত উপসচিব আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলমের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আমজাদ হোসেনকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)-এর সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মনির হোসেন মাহিন/এমএন/জিকেএস