পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কিস্তির টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা না করে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় দুদকের পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করে।
তদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পবিপ্রবির লোন শাখা ও পেনশন বিভাগের উপপরিচালক রাজিব মিয়া এবং ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট আবু সালেহ মো. ইছার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঋণের কিস্তির বিপরীতে তারা ভুয়া ব্যাংক স্লিপ তৈরি করে টাকা জমা দেখালেও তা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। আমরা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে পবিপ্রবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জিপিএফের ১০ শতাংশ কর্তন করা তহবিল থেকে রূপালী ব্যাংক পবিপ্রবি শাখার হিসাব নম্বর ৮****৫ থেকে মোটরসাইকেল এবং কম্পিউটার কেনার জন্য ঋণ চালু করা হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করলেও দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তা ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ করেন। অভ্যন্তরীণ অডিট সেলে হিসাবের গরমিল ধরা পড়লে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা নিজেদের দায় স্বীকার করে এরই মধ্যে ৩২ লাখ টাকা ফেরত জমা দিয়েছেন।