র্যাগিংয়ের অভিযোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ২০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পবিপ্রবি রেজিস্টার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৪০তম সভা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের তানভিরুল ইসলাম সিয়াম ও প্রিতম কারনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। কৃষি অনুষদের মো. ইউনুস খান ইফতি ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের জুনায়েদ হোসাইনকে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে।
যেসব শাস্তি দেওয়া হলো
এ ছাড়া আইন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের সৌরভ সরকার শাওন, কৃষি অনুষদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের জিহাদ হাসান জিম, আইন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের গোলাম রাব্বি, কৃষি অনুষদের এম কেরামত আলী হলের ওমর ফারুক, সিএসসি অনুষদের এম কেরামত আলী হলের খালিদ মাহমুদ রুপক, আইন অনুষদের শের-ই-বাংলা-২ হলের খালিদ হাসান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ইসতিয়াক আহমেদ রিহাব, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের মো. জুনায়েদ আল হাবিব জিন্নাহ, কৃষি অনুষদের শের-ই-বাংলা-১ হলের সাহিব আহমেদ চৌধুরীকে এক বছর হল থেকে বহিষ্কার ও এক বছর জরিমানা করা হয়েছে।
কৃষি অনুষদের এম কেরামত আলী হলের এমএ জুবায়ের, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের মো. সোহেল ও আইন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের সনাতন চন্দ্র রায়কে হল থেকে ছয় মাস বহিষ্কার ও ছয় মাস জরিমানা করা হয়।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের কাচিং মং মারমা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের মো. নুর মোহাম্মদ সরকার, আইন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের মিনহাজুল ইসলামকে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আইন অনুষদের শের-ই-বাংলা-২ অনুষদের সুপেল চাকমাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেমিস্টার বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা কোনোমতে ক্যাম্পাসে ও হল বহিষ্কাররা কোনোভাবে হলে অবস্থান করতে পারবে না। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের মধ্যে দণ্ডিত অর্থ জমা দিতে বলা হয়েছে। অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
গত ২৩ নভেম্বর রাত দেড়টায় এম কেরামত আলী হলের নবাগত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (লেভেল-১, সেমিস্টার-১) শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের (লেভেল-২ সেমিস্টার-২) এ সব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।