হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দেবর মোস্তাকিন মিয়াকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দুই ভাবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন, মোস্তাকিনের বড়ভাবি রোজিনা আক্তার (২৯) ও তাসলিমা আক্তার (২৫)। তাদের পরকীয়া প্রেমিক রায়হান উদ্দিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়।
ঘাতক রায়হান জবানবন্দিতে বলেন, তিন বছর ধরে তাছলিমা বেগম ও পরে বড়ভাবি রোজিনা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয় তার। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামে বিচার হয়। বিচারে রায়হানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপরও রায়হান প্রায় তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। ২৪ নভেম্বর রাত অনুমান ৯ টার দিকে তাদের বাড়িতে যান রায়হান। প্রথমে তাছলিমা বেগমের সঙ্গে মেলামেশা করেন। পরে রোজিনা বেগমের রুমে যাওয়ার সময় মোস্তাকিন দেখে ফেলে। পরে দুই জা ও রায়হান পরিকল্পনা করে মোস্তাকিনকে হত্যা করার। তাছলিমা বেগম মোস্তাকিনের দুই পা এবং রোজিনা বেগম তার হাত ও শরীরে ধরে রাখেন। এসময় রায়হান বাম হাত দিয়ে মোস্তাকিনের মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। পরে রায়হান পালিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের পর পরিকল্পনামতে মোস্তাকিনের ভাবিরা চিৎকার করে কান্না করতে থাকেন। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার রাতে পুলিশ রোজিনা ও তাসলিমাকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) তরিকুল ইসলাম বলেন, রোজিনা ও তাসলিমার সঙ্গে রায়হানের পরকীয়া প্রেমের ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/জেআইএম