বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদ এলাকায় বৃক্ষরোপণ করেছে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ।
আয়োজকরা জানায়, দিনব্যাপী এই আয়োজনের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৩টি স্থানে গাছ লাগানোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, জমির ক্ষয়রোধে গাছের ভূমিকা বিষয়ে সচেতনতামূলক মানববন্ধন ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া 'গাছ লাগানোর প্রতিজ্ঞা' বিষয়ক সিগনেচার ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো হেলদি লিভিং, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ, জেসিআই ঢাকা মেট্রো, আরডিআরসি ও ব্রান্ড অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল।
আরও পড়ুন>
মিশন গ্রিন বাংলাদেশের আহ্বায়ক আহসান রনি বলেন, দেশের মানুষদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে এবং বর্ষা মৌসুমে সঠিকভাবে বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যার বিষয়গুলো জানাতেই সারা বাংলাদেশে এ আয়োজন করার চেষ্টা করেছি। ৫৩টি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে স্থানীয় সংগঠনগুলো এবং ভলান্টিয়ারদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা অতুলনীয় ছিলো। সামনে পরিবেশ নিয়ে আরও বড় বড় আয়োজন নিয়ে আসবে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ। ৬৪ জেলায় গাছ লাগানোর কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
মিশন গ্রিন বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ বলেন, পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচতে হলে তরুরাজির শ্যামল ছায়ায় ফিরতে হবে। দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনার জন্য প্রত্যেকের প্রতি বছর অন্তত দুটি করে বৃক্ষরোপণ করা দরকার।
আয়োজনের সহযোগী চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও জলবায়ু নীতি বিশ্লেষক এম জাকির হোসেন খান বলেন, ১টি পূর্ণ গাছ প্রতিদিন ৪ জন মানুষের অক্সিজেন প্রদান করে, প্রায় ৬ থেকে ৮ জন মানুষের কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে। অথচ গত ২০১০ সাল থেকে গড়ে প্রায় ২.৫ শতাংশ বনভূমি হারাচ্ছি, শহরগুলো হিট আইল্যান্ডে পরিণত হচ্ছে।
আরডিআরসির প্রধান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, দেশে বছরে ১১ লাখের বেশি গাছ কাটা হচ্ছে। সারা দেশে প্রতিবাদের পাশাপাশি গাছ লাগাতে হবে। মিশন গ্রিন বাংলাদেশ এক্ষেত্রে একটি দারুণ প্রচেষ্টা।
আরএএস/এসআইটি/এএসএম