‘পরিবেশ সংরক্ষণ করেই মাছ উৎপাদন করতে হবে’
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেছেন, বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ লাভজনক হলেও আমাদের পরিবেশ, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক চিন্তার বাইরে যাওয়া যাবে না। আমাদের প্রকৃতি উপযোগী মাছ উৎপাদন করতে হবে। শুধু লাভের জন্য নয়, পরিবেশ সংরক্ষণ করেই মাছ উৎপাদন করতে হবে।
রোববার (২৪ আগস্ট) রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘মূল্যায়ন, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ কী কী মাছ উৎপাদনের উপযোগী তা ভালোভাবে বুঝতে হবে। মৎস্যখাদ্যে বা পশুখাদ্যে ক্ষতিকর হরমোন মেশানোর ফলে বিভিন্ন রোগবালাই সৃষ্টি হলে সকলের জন্য তা ক্ষতির কারণ হবে। এসময় মাছের রোগবালাই দমনে প্যাথলজি ল্যাব স্থাপনে চাষিদের দাবির প্রতি সহমত পোষণ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের আওতায় নগরীর জেলেদের মধ্যে বকনা বাছুরের পরিবর্তে অটোরিকশা প্রদান করা হবে। মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীদের পরিবারকে উৎসাহ প্রদানের অংশ হিসেবে প্রদানকৃত চালের পরিমাণ বৃদ্ধির আশ্বাস দেন তিনি।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান ও রাজশাহী মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী, হ্যাচারি মালিক, মৎস্যখাদ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং মৎস্যখাদ্য বিক্রেতা উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয় এবং এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।