পরিমার্জন বই আজ থেকে ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে : এনসিটিবি

2 days ago 9
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান একেএম রিয়াজুল হাসান বলেছেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি বই পরিমার্জন করা হয়েছে, যা অনলাইনে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে আজ থেকেই। বুধবার (০১ জানুয়ারি) সকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বাকি সব বই ও মাধ্যমিকের ৮টি বই পৌঁছে যাবে শিক্ষার্থীদের হাতে। এ ছাড়াও ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই ও ২০ তারিখের মধ্যে সব শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। ৪১ কোটির মধ্যে ৬ কোটি বই দেওয়া হয়ে গেছে, আরও ৪ কোটি বই দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর আগে বই উৎসবের নামে অর্থ অপচয় হয়েছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের বিনামূল্যের মূল পাঠ্যবইগুলোর মধ্যে ৬৯১টি বই নতুন করে পরিমার্জন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪১টি বইয়ের পরিমার্জন সম্পন্ন করে পিডিএফ ভার্সনে রূপান্তর করা সম্পন্ন হয়েছে, যা ইতোমধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। পরে চলতি ২০২৪ সালে প্রাথমিকের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণি, ২০২৫ সালে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম এবং মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসে। এই শিক্ষাক্রমের আলোকে ২০২৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠদানের কথা ছিল। তবে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর থেকেই এ নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর আলোচিত-সমালোচিত এই পাঠ্যক্রমই স্থগিত করে দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ফিরে যাওয়া হয় পুরনো কারিকুলামেই। পাঠ্যবইয়ে অতিরঞ্জিত ইতিহাসসহ বিভিন্ন পরিমার্জন আনা হচ্ছে এবারের শিক্ষাবর্ষে। কয়েকটি গল্প-কবিতা বাদ দিয়ে নতুন করে গল্প-কবিতা সংযোজন করা হচ্ছে। আর ইতিহাসনির্ভর বিষয়বস্তুতেও আনা হচ্ছে পরিবর্তন। বইয়ের পিডিএফ পেতে ক্লিক করুন।
Read Entire Article