পরিযায়ী পাখির কিচিরমিচিরে মুখর শিবরামপুর

2 hours ago 5
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাণিবহ ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রাম এখন অতিথি পাখির কলরবে মুখরিত। শীতের আগমনি হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজারো পরিযায়ী পাখি এসে আশ্রয় নিয়েছে এই নিভৃত গ্রামে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে থাকে চারদিক। রাজবাড়ী জেলা শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শিবরামপুর গ্রামের করবাড়ির পুকুরপাড় এখন পাখিদের রাজ্য। চারপাশে ঘেরা গাছের ডালে শত শত বাসা বেঁধেছে তারা। কেউ উড়ছে আকাশে, কেউবা ডালে বসে কলতান করছে। দলবদ্ধভাবে ওড়ার দৃশ্য দেখে মনে হয়, যেন কোনো শিল্পী তুলির আঁচড়ে এঁকে রেখেছেন প্রকৃতির এক জীবন্ত ছবি। পাখিদের কলতানে মুখর শিবরামপুর এখন রাজবাড়ীর এক অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক। যেখানে প্রতিটি সকাল শুরু হয় পাখিদের গানে, আর প্রতিটি বিকেল শেষ হয় প্রকৃতির নরম ছোঁয়ায়। স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে মাঝে মাঝে কিছু পাখি দেখা যেত, এখন প্রতি বছরই তাদের সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর প্রায় ২০ হাজারের মতো পাখি এসেছে। সকালে খাবারের খোঁজে উড়ে যায়, আবার বিকেলে ফিরে এসে গাছভরা গ্রামটিকে কিচিরমিচিরে ভরিয়ে তোলে। পাখি দেখতে আসা সবুজ মিয়া বলেন, পাখিদের কলরব শুনলে মনে হয় প্রকৃতি গান গাইছে। এমন দৃশ্য মন ভরিয়ে দেয়। এদিকে পাখি দেখতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে আসছে মানুষ। কেউ ছবি তুলছে, কেউ ভিডিও করছে, কেউবা শুধু চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনছে পাখিদের সুরেলা ডাক।  রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, পরিযায়ী পাখিরা শীতপ্রধান দেশ থেকে খাবার ও নিরাপদ পরিবেশের সন্ধানে বাংলাদেশে আসে। তারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের উপস্থিতি আমাদের প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ। এ বিষয়ে রাজবাড়ী বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর সায়েদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমরা নিয়মিত নজরদারি করছি। পাখি সংরক্ষণে স্থানীয়দের সচেতন করা হচ্ছে এবং সেখানে একটি সাইনবোর্ড স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Read Entire Article