পরীক্ষা স্থগিত করল ৭ কলেজ
গত দুদিন ধরে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বর) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের মঙ্গলবারের পরীক্ষা ‘অনিবার্য কারণে’ স্থগিত করা হয়েছে। এ পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ‘শিগগিরই’ ঘোষণা করা হবে। তবে অন্যান্য পরীক্ষার সময়সূচির অপরিবর্তিত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শত শত শিক্ষার্থী যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় কলেজটির বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে দুপুর ১টার দিকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছাড়াও সংঘর্ষ ঘটে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যাত্রাবাড়ী এলাকা। ওই ঘটনায় অনেকে আহত হলে তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ, র্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এদিন সকাল থেকেই পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা যাত্রাবাড়ীর দিকে রওনা হয়। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে স্লোগান দিয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গতকাল রোববার ন্যাশনাল মেডিকেলে ভুল চিকিৎসায় মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ন্যাশনাল মেডিকেল, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালায় মোল্লা কলেজের নেতৃত্বে বেশকিছু শিক্ষার্থীরা।
হামলার সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজের নিজস্ব গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কারসহ ৫টি যানবাহন ভাঙচুর ও কলেজের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল এবং আলমারি ভেঙে টাকা লুট করা হয় বলে জানায় কলেজ প্রশাসন।