পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মস্তিষ্ক ও হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়

3 hours ago 5
আজকের ব্যস্ত জীবনে অনেকেই রাতের ঘুম কমিয়ে কাজ বা ফোন স্ক্রোলিংয়ে সময় কাটান। কিন্তু এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, ঘুম শুধু বিশ্রামের জন্য নয়, এটি মস্তিষ্ক ও শরীরের সুস্থতার এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিউরোলজিস্ট ডা. রিতু ঝা ও কার্ডিওলজিস্ট ডা. প্রভীন কুলকার্নি সম্প্রতি এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। আরও পড়ুন : ৩৫ বছরেই যে কারণে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক আরও পড়ুন : অতিরিক্ত ঘুমেও লুকিয়ে আছে বিপদ মস্তিষ্কের জন্য ঘুম কেন জরুরি- এ প্রশ্নের জবাবে ডা. রিতু ঝা জানান, গভীর ঘুমের সময় মস্তিষ্কের গ্লিমফ্যাটিক সিস্টেম সক্রিয় থাকে, যা মস্তিষ্কের ‘বর্জ্য পরিষ্কার’ কাজ করে। এই প্রক্রিয়ায় ক্ষতিকর প্রোটিন যেমন বিটা-অ্যামাইলয়েড দূর হয়, যা আলঝেইমার’স রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, মস্তিষ্ক এই পরিশোধন প্রক্রিয়া ঠিকমতো করতে পারে না। ফলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয় এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানীয় ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেও এই ঝুঁকি রয়েছে। ডা. প্রভীন কুলকার্নি জানান, ভালো ঘুম কার্ডিওমেটাবলিক ভারসাম্য বজায় রাখে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়- ক্ষুধা হরমোন বেড়ে যায়, সাচার হরমোন কমে যায়, ফলে ওজন বাড়ে ও রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে স্ট্রেস হরমোন করটিসল বেশি নিঃসৃত হয়, যা ইনফ্লেমেশন, রক্তে গ্লুকোজের বৃদ্ধি এবং ধমনিতে প্লাক জমার ঝুঁকি বাড়ায়। দীর্ঘমেয়াদে এই পরিস্থিতিই হার্ট অ্যাটাক বা অনিয়মিত হার্টবিটের কারণ হতে পারে। ডা. কুলকার্নি বলেন, নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীর ও হৃদযন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত ও চাপমুক্ত রাখে।  ঘুমের ঘাটতি কতটা বিপজ্জনক? - ক্লান্তি ও মনোযোগের সমস্যা - স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া - হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া - হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ বৃদ্ধি আরও পড়ুন : তরুণ বয়সেও কেন বাড়ছে স্ট্রোক? যেসব অভ্যাসে বাড়ে এর ঝুঁকি আরও পড়ুন : শিশুদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারের সাধারণ কিছু লক্ষণ তাই সারাদিনের ব্যস্ততা যাই হোক, রাতে ন্যূনতম ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শুধু ক্লান্তি নয়, বরং মস্তিষ্ক ও হার্টের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস 
Read Entire Article