পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগের পাশাপাশি ১০০ শতাংশ জৈব পচনশীল প্লাস্টিকের তৈরি জৈব পচনশীল ব্যাগ একটি টেকসই সমাধান হতে পারে। পচনশীল প্লাস্টিকের তৈরি জৈব পচনশীল পণ্য ছয় মাসের মধ্যে অনুকূল পরিবেশে কার্বনডাই অক্সাইড, পানি এবং কিছুটা বায়োমাস হিসেবে রূপান্তরিত হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক ল্যাব দ্বারা স্বীকৃত যে এখানে কোনো মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে না।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) পলিথিন প্লাস্টিকে বিপন্ন পরিবেশ: সংকট সমাধানে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করে এসব কথা বলেন জৈব পচনশীল ব্যাগ নিয়ে কাজ করা ইন্টার লিংক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী মো. ইফতেখাইরুল হক।
তিনি বলেন, পলিথিন ব্যাগের নিরাপদ বিকল্পের বাজারে সহজলভ্যতা নির্ভর করে প্রাপ্যতা, খরচ, সচেতনতা ও সরকারি নিয়মনীতির ওপর। এক্ষেত্রে ২টি ভাবে কাজ করা যেতে পারে। বিকল্প ব্যাগের সহজলভ্যতা এবং অন্যটি হচ্ছে ম্যানেজমেন্ট।
প্রচলিত পলিথিন ব্যাগ বন্ধে বিকল্প সুপারিশ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে চাহিদা থাকার ফলে আমাদের দেশে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে। Compostable bio-polymer দিয়ে উৎপাদিত ব্যাগ যদি বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশ অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত যেসব ফ্যাক্টরিগুলো আছে সেগুলোতে খুব অল্প খরচ করে সেসব মেশিনারিজ দিয়ে আমরা জৈব পচনশীল ব্যাগ তৈরির কারখানায় রূপান্তরিত করতে পারি। যার ফলে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে সকল শ্রমিক কাজ করে পলিথিন ব্যাগ বন্ধের ফলে তাদের বেকারত্বের সম্ভাবনা পুরোটাই কেটে যাবে। এবং সেটা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সম্ভব। এর ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রচলিত পলিথিন ব্যাগ বন্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।
তিনি বলেন, এটি শুধু পরিবেশের জন্য ভালো নয়, বরং একটি টেকসই অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপনে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সাহায্য করবে।
আরএএস/এমএইচআর/এমএস