পা দিয়ে জায়নামাজ সোজা করলে কি গোনাহ হয়?

1 hour ago 3

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁর ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের শ্রেষ্ঠতম রূপ হলো নামাজ। নামাজ শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং সামাজিক ও আধ্যাত্মিক জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ অর্থাৎ, নামাজ ছাড়া ধর্মের ভিত্তি গড়ে ওঠে না।

রাসুল (সা.)-এর ভাষায়, ‘আমার চোখের স্নিগ্ধতা বা প্রশান্তি রয়েছে নামাজে।’ এ থেকেই বোঝা যায়, নামাজ শুধু শরীয়তের বিধান নয়, বরং তা একজন মুমিনের আত্মিক প্রশান্তির উৎস।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তুমি সূর্য হেলার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম কর এবং ফজরের নামাজ (কায়েম কর)। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজে সমাবেশ ঘটে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৭৮)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে’ (সুরা আনকাবুত : ৪৫)। অর্থাৎ, প্রকৃত নামাজি সব ধরনের অশ্লীলতা ও অনৈতিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।

তাই পৃথিবীতে আল্লাহর দেওয়া বিধানগুলোর মধ্যে নামাজের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। আর নামাজের মর্যাদা যেমন বেশি, তেমনই নামাজি ব্যক্তির মর্যাদাও বেশি।

মসজিদ হোক কিংবা অফিস-ঘর, যে কোনো জায়গাতেই নামাজ আদায়ের জন্য আমরা সাধারণত জায়নামাজ ব্যবহার করি। কিন্তু যখন কেউ নামাজে দাঁড়ানোর সময় পা দিয়ে জায়নামাজ গোছান বা সোজা করেন, তখন অনেকে বলে থাকেন যে, পা দিয়ে জায়নামাজ ঠিক করলে নামাজ হবে না। গোনাহ হবে। তাই প্রশ্ন জাগে, কোরআন-হাদিসের ভিত্তিতে আসলে এই কথা সঠিক কি না। চলুন তাহলে শরিয়তের ভাষ্য জেনে নিই—

প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, জায়নামাজ বা নামাজের বিছানা যদি পা দিয়ে সোজা করেন, গোছান বা নাড়াচাড়া করেন তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। অনেকে মনে করেন এমনটা করলে গোনাহ হবে, নামাজ হবে না— তাদের এই ধারণা ভুল। কারণ কোরআন-হাদিসের কোথাও এমন কোনো কথা নেই। অতএব যে কোনোভাবেই সোজা করলে নামাজ হয়ে যাবে। হাত দিয়েই সোজা করা আবশ্যক নয়।

Read Entire Article