পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত

2 hours ago 4

পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান ও সৌদি আরব। চুক্তিতে বলা হয়েছে, কোনো এক দেশের ওপর হামলা হলে সেটি উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এই চুক্তির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ভারত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিদ্যমান একটি ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক রূপ বলে জানিয়েছে ভারত। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা, সেইসঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার ওপর এই চুক্তি কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা খতিয়ে দেখবে ভারত।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের খবর দেখেছে। এইধরনের একটি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান একটি দীর্ঘদিনের বোঝাপড়াকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে এবং ভারত সরকার এই চুক্তির প্রভাব জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কীভাবে পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এর আগে সৌদি আরবের আল-ইয়ামামা প্রাসাদে বৈঠকের পর জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রতিরক্ষা চুক্তি প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব ও ইসলামী ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করা এবং যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি যৌথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের উপস্থিতিও লক্ষ করা গেছে। এই চুক্তিটি এমন এক সময়ে স্বাক্ষরিত হলো, যখন কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়কালে ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমানে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ পর্যন্ত তিনবার সৌদি আরব সফর করেছেন এবং ২০১৬ সালে তাকে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা 'কিং আব্দুল আজিজ স্যাশ' প্রদান করা হয়।

Read Entire Article