পাকিস্তানি তালেবানের হামলায় ১২ সেনা নিহত

19 hours ago 3

উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে শনিবার ভোরে তালেবানের অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ১২ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সরকার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। ২০২১ সালে আফগান তালেবান কাবুলের ক্ষমতায় গ্রহণের পর থেকে পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি হামলার সংখ্যা আবারও বেড়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, ভোর ৪টার দিকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি শহর দিয়ে সামরিক কনভয় যাচ্ছিল। সেসময় সশস্ত্র হামলাকারীরা দুই দিক থেকে ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। এতে ১২ জন সেনা নিহত এবং আরও চারজন আহত হয়।

সেখানে অবস্থানরত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হামলাকারীরা কনভয়ের অস্ত্রও লুট করে নিয়ে গেছে।

তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দিয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে। আফগান তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও টিটিপি একটি পৃথক সংগঠন।

কয়েক এক মাসের মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এটাই অন্যতম ভয়াবহ হামলা। একসময় ওই প্রদেশের বড় অংশ টিটিপির নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের পর তাদের নিয়ন্ত্রণ কমে আসে।

ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তান তাদের ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানে হামলা চালানো জঙ্গিদের তাড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে। যদিও কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলায় ভবনের দেয়ালে টিটিপির নাম লেখা গ্রাফিতি দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, টিটিপির শাসন আবার ফিরে আসতে পারে।

এক জ্যেষ্ঠ স্থানীয় কর্মকর্তা সম্প্রতি এএফপিকে জানিয়েছেন, একই সঙ্গে টিটিপির যোদ্ধা এবং হামলার সংখ্যা বেড়েছে।

এএফপির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া ও দক্ষিণের বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় প্রায় ৪৬০ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।

ইসলামাবাদভিত্তিক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ জানিয়েছে, প্রায় এক দশকের মধ্যে গত বছর পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ছিল সেনা ও পুলিশ সদস্য।

টিটিএন

Read Entire Article