পাকিস্তানে ইন্টারনেটে ধীরগতি, কী বলছে সরকার
ইমরান খানের ডাকা ‘চূড়ান্ত বিক্ষোভে’ অচল হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। খবর জিও নিউজ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন এবং দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হলেও বিক্ষোভকারীদের থামানো যায়নি। এর মধ্যেই পাকিস্তানের মুলতান, রাজনপুর ও গুজরাটসহ কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটেছে।
সরকারি সূত্র জানায়, জননিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে কিছু এলাকায় ইন্টারনেট গতি সীমিত করা হয়েছে। তবে পিটিআই নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ আন্দোলন দমন করার কৌশল।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করলেও পিটিআই তা গ্রহণ করেনি এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।
ইন্টারনেট পরিষেবার বিঘ্ন নিয়ে সরকার দাবি করেছে, এটি শুধু জননিরাপত্তার জন্য সাময়িক পদক্ষেপ। তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, দীর্ঘমেয়াদি ইন্টারনেট ধীরগতি অর্থনীতি এবং জনগণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবং দলের শীর্ষ নেতারা ইতোমধ্যেই রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশে রয়েছেন। অন্যদিকে, পিটিআই সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ।
ইমরান খান কারাগারে থাকলেও তার দেওয়া ‘চূড়ান্ত ডাক’ পাকিস্তানের রাজনীতিতে উত্তেজনার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ইন্টারনেট ধীরগতির কারণে এই উত্তেজনা আরও কতটা দীর্ঘায়িত হবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।