কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা। সাত ঘণ্টায় এখন পর্যন্ত গণনা করা হয়েছে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়া এখনো চলছে গণনার কাজ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স ও একটি ট্রাংক খুলে রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় এনে গণনার কাজ শুরু হয়।
পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাকা গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের ১২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ সেনা সদস্য, ১৭ পুলিশ সদস্য, ৯ আনসার সদস্য, ২৮২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, ৩৬ শিক্ষক ও স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ৭৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছেন।
দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিতি ছিলেন- কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সেনাবাহিনী সার্জেন্ট বিপ্লব, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজ।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন তিন মাস ২৬ দিনে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার অলংকার পাওয়া গেছে।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। অন্যদিকে সেখানে আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগির এটির কাজ শুরু হবে। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। এতে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।