পাচারের সময় ৭২ বস্তা সরকারি চালসহ মাঝি আটক
কিশোরগঞ্জের ইটনায় সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭২ বস্তা চাল এবং ট্রলারসহ তিন মাঝিকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে উপজেলার বাদলা বাজার এলাকা থেকে চালগুলো আটক করা হয়।
আটককৃত নৌকার মাঝিরা হলেন—মৃগা ইউনিয়নের আব্দুর রহিম কাজী এর ছেলে আজহারুল ইসলাম লেলিন (৪০), এখলাছ মিয়ার ছেলে নিয়ামুল মিয়া (২৪), আজিজুল মিয়ার ছেলে সাইদুল মিয়া (১৯)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাড়াইল বাজারে চাল পাচারের সময় বাদলা পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ চাল জব্দ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত চালগুলোর ডিলার হলেন ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের জানু মিয়া। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ওএমএস লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। ওই লাইসেন্সের আওতায় তিনি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, সরকার নির্ধারিত নিয়মে গরিব মানুষের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে চাল বিতরণ না করে তিনি সহযোগীদের নিয়ে চাল অন্যত্র পাচারের চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে জানতে ডিলার জানু মিয়াকে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তা রিসিভ হয়নি।
বাদলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুস সামাদ বলেন, ৭২ বস্তা চালসহ একটি ট্রলার আটক করা হয়েছে। তবে এগুলো সরকারি চাল নাকি মালিকানা চাল, যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ বিষয়ে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর ইকবাল কালবেলাকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে চাল উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইটনা উপজেলার উপখাদ্য পরিদর্শক সজল সরকার কালবেলাকে জানান, আটক চাল এবং বস্তাগুলো সরকারি ওএমএসের। তবে বস্তাগুলো হাতে সেলাই করা।
ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ডিলারের বিরুদ্ধে রেগুলার মামলা রুজু করতে থানায় বলা হয়েছে।