পাথর লুটে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুদক

3 weeks ago 6

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ‘সাদাপাথর’ এলাকা থেকে পাথর লুটে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত অনুসন্ধান শুরুর কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এই পাথর লুটের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রশাসন এবং পেশাজীবীদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় দুদক থেকে এনফোর্মমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। টিম ইতোমধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। লুটপাটের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এবং পরবর্তীতে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় ৪২ জনকে চিহ্নিত করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তালিকায় বিএনপির ২০, আওয়ামী লীগের সাত এবং জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি দুজন করে নেতার নাম রয়েছে।

গত ১৩ আগষ্ট ভোলাগঞ্জে অভিযান ও অনুসন্ধান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। এ অভিযানে তারা এসব নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে।এছাড়া এ ঘটনায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি সদস্যদের কর্তব্যে অবহেলার তথ্যও পেয়েছে।

দুদকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজন সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশার মানুষের তথ্য পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট দল। তাদের বিষয়েও যাচাই-বাছাই চলছে। এই এলাকা থেকে কয়েকশ কোটি টাকার পাথর লুটপাট হয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের প্রকাশিত তালিকায় যাদের নাম রয়েছে...

সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মো. ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, সিলেট জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগর প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সদস্য হাজি কামাল (পাথর ব্যবসায়ী), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া (পা. ব্য.), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে দুদু (পা. ব্য.), সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাহার (পা. ব্য.), সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুসতাকিন আহমদ ফরহাদ (পা. ব্য.), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া ওরফে দুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক রজন মিয়া।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, সাজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, সদস্য মোজাফর আলী, মানিক মিয়া, সিলেটি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরান, কোষাধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) শাহ আলম ওরফে স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম এবং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স, কার্যক্রম নিষিদ্ধ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী বিলাল মিয়া (পা. ব্য.), শাহাবুদ্দিন (পা. ব্য.), গিয়াস উদ্দিন (পা. ব্য.), কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু, কর্মী মনির মিয়া, হাবিল মিয়া ও সাইদুর রহমান।

এছাড়াও রয়েছেন কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জের আনর আলী, উসমান খাঁ, ইকবাল হোসেন আরিফ, দেলোয়ার হোসেন জীবন, আরজান মিয়া, মো. জাকির, আলী আকবর, আলী আব্বাস, মো. জুয়েল, আলমগীর আলম ও মুকাররিম আহমেদ।

এসএম/কেএইচকে/জেআইএম

Read Entire Article