পাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে

6 hours ago 5

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে হলের রুমে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে হলের ৫২৬ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মীরা হলেন সৈকত, শিহাব, ইমন, ওমর ফারুক, জাকির। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামের অনুসারী বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী মুরাদ হাসান পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী মুরাদ হাসান জানান, অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ওমর ফারুক আর তিনি ৫২৬ রুমে থাকেন। ওমর ফারুক মাঝেমধ্যেই তার সঙ্গে ঝামেলা করতেন। তিন দিন আগে রুমে দরজা খোলা নিয়ে মুরাদের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা ওমর ফারুক শিহাবকে জানান।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঘুম থেকে তুলে নাক ঢাকার জন্য মুরাদকে বকাঝকা করেন ওমর ফারুক। পরে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। আজ দুপুরে ফারুকের সঙ্গে ঝামেলা না করার জন্য মুরাদকে হুঁশিয়ার করেন শিহাব। পরে নামাজের পর মুরাদ রুমে গেলে রুমে শিহাব, সৈকত, ইমন, জাকিরসহ কয়েকজনকে ডেকে আনেন ফারুক। এরপর তারা মুরাদকে কিলঘুসি মারতে থাকেন।

একপর্যায়ে ব্যাট নিয়ে মারতে গেলে মুরাদের রুমমেট তাদের আটকে দেন। এরপর ছাত্রদলের কর্মীরা রুম ত্যাগ করেন। পরে অন্য রুমের শিক্ষার্থীরা পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

মুরাদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মুরাদকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়েছে। সে বাম চোখে আঘাত পেয়েছে। ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরেক অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শিহাব বলেন, ‘আমি মারধরের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমি ওর ঝামেলা মেটাতে রুমে গিয়েছি।’

অভিযুক্ত ইমন বলেন, ‘আমি এ ঘটনায় জড়িত ছিলাম না। মারধরের সময় রুমে ছিলাম। শিহাব, সৈকত, ওমর ফারুকসহ কয়েকজন মারধর করেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঝামেলাটা ওদের ব্যক্তিগত। ওরা আমার সঙ্গে রাজনীতি করতে পারে কিন্তু এ ঘটনার দায় ছাত্রদলের না। প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয় আমরা সেটা মেনে নেবো।’

এসআর/এএসএম

Read Entire Article