ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর পালিয়ে বেড়ানো চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মোহনপুরের বালু খেঁকো কাজী মতিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেপ্তারের তথ্যটি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ওসি মজিবুর রহমান।
ডিবি জানায়, সোমবার বিকেলে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জুয়েল রেজা সঙ্গীয় ফোর্সসহ পালিয়ে বেড়ানো কাজী মতিনকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মোরশেদুল আলমের আদালতে নিয়ে গেলে তিনি মতিনকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কাজী মতিন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, কাজী মতিন মতলব উত্তরের মোহনপুর ইউনিয়নের কাজী আবুল হোসেনের ছেলে। তার বড় ভাই মোহনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিজানুর রহমান। এছাড়া তিনি চাঁদপুরের আলোচিত বালুখেকো ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের সহযোগী ছিলেন। সেলিম খানের মৃত্যুর পর আত্মগোপনে থেকে কাজী মিজানুর রহমান ও কাজী মতিন চাঁদপুরে শত শত অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তবে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ নদীতে তাদের ধরতে গিয়ে অবৈধ ড্রেজার ও নৌযান শ্রমিক আটক করলেও তাদের মতো মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন এবং কলকাঠি নাড়েন। পরে আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিতে নৌ থানাসহ বিভিন্ন স্থানে তাদের আশির্বাদপুষ্টদের দিয়ে তদবির চালান।
চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মজিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, কাজী মতিন ওয়ারেন্টের ৩ মামলায় হাজিরা না দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় বালু উত্তোলনসহ প্রভাব বিস্তারের বহু অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।