গাজীপুর সদর উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আলামিন (২৫) নামে আরেকজন গুরুতর আহত হয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হায়দার ইসলাম (৫০) রাঙামাটির লংগদু উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের সোলেমান বেপারীর ছেলে। আহত আলামিন (২৬) ফেনী জেলার মহিরহাট গ্রামের মহনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নয়াপাড়া এলাকায় সম্প্রতি একাধিক ডাকাতির ঘটনার পর এলাকাবাসী মিলে বিভিন্ন পয়েন্টে পাহারা দিচ্ছিল। এসময় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে একজনকে আটক করা হয়। তখন তার সঙ্গে থাকা আরও পাঁচ থেকে সাতজন পালিয়ে যান। পরে ভৌরাগাটা এলাকায় আরেক জনকে আটক করে স্থানীয়রা গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-
কুষ্টিয়ায় চরমপন্থি সংগঠনের নামে শিক্ষকদের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ
চাঁদা না পেয়ে টেম্পুস্ট্যান্ডে তাণ্ডব, সেই যুবদল নেতা গ্রেফতার
রূপগঞ্জে সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় স্থানীয়রা দুইজনকে ডাকাত সন্দেহে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হায়দার ইসলাম ও আলামিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হায়দার ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ জানান, নয়াপাড়া এলাকায় ডাকাতি করতে এলে স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে একজন নিহত হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। নিহত হায়দার ইসলামের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
আমিনুল ইসলাম/এফএ/এএসএম