উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) সব ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের ২০ ও ২১তম ব্যাচের দুই মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সব ধরনের প্রলোভন ও প্ররোচনার ঊর্ধ্বে উঠে পিআইওদের কাজ করতে হবে। প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, এমন কাজ করা যাবে না। পিআইওদের সব ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে দরিদ্রদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। এসব প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে যেন অতি দরিদ্ররা এই কর্মসূচি থেকে বঞ্চিত না হন।
আরও পড়ুন
‘দুর্যোগ মোকাবিলায় পূর্বাভাসমূলক কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ সামগ্রী কেনাকাটায় আগে অনেক অনিয়মের অভিযোগ শোনা যেতো। সেজন্য এখন কম্বল, টিন ও শুকনো খাবার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কেনা হচ্ছে। এতে দুর্নীতি অনেকাংশে কমবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং অবকাঠামগত উন্নয়ন ও নির্মাণকাজ এবং সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে হ্রাস করে দুর্যোগ প্রশমন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় অধিকতর গুরুত্বারোপ করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক বক্তৃতা করেন। ৩৯ জেলার ৫০ জন পিআইও এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
আরএমএম/ইএ/এএসএম