বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হবে- আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং সবদিক থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এখন কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ ‘পিআর’ ব্যবস্থা চাচ্ছে, কিন্তু কেন লাগবে তা ব্যাখ্যা করছে না। পিআর হলে এমনও সময় আসতে পারে যে, এ দেশে কোনো সরকার গঠনই হবে না।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বনানীর শেরাটন হোটেলে ‘তারেক রহমান পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যদি ভোটের হারে পার্লামেন্টের সদস্য নির্ধারিত হয় এবং কোনো দল ৪০ শতাংশ ভোট পায়, দেখা যাবে তাদের আসন হবে মাত্র ১২০টি- তাহলে তো সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না। অথচ অতীতে ৩৫ থেকে ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠিত হয়েছে। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন যে দল পেয়েছে, সেই দলই সরকার গঠন করেছে।

আরও পড়ুন
গণভোট না হলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: গাজী আতাউর
জয়ী হলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী, খালেদা জিয়া নাকি তারেক রহমান
তিনি বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ এবং আমাদের দেওয়া প্রথম ২৭ দফার সমন্বয়ে এই ৩১ দফাকে একত্রিত করা হয়েছে। তো সংস্কার আমরা চাই না- এ কথা বলে কেউ কেউ এখন অপপ্রচার করছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সংস্কার কারা চেয়েছে? আমরাই চেয়েছি।
পিআর পদ্ধতির সমস্যা তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, প্রথমত পিআর হলে সরকার গঠনে জটিলতা সৃষ্টি হবে। দ্বিতীয়ত জনগণের প্রকৃত গণতান্ত্রিক চয়েস বা পছন্দ সেখানে প্রতিফলিত হবে না। জনগণের ভোটে কে এমপি হবে, সেটি নির্ধারণ হবে না।
তিনি বলেন, আগামীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা মনে করি, এসব ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন বিলম্বিত করা বা বাতিল করে দেওয়া। কিছু দল যারা অতীতে স্বৈরাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে বা পলায়ন করেছে। তারা যে ষড়যন্ত্র করবে না, তা নয়। বাংলাদেশের ভেতরেও কিছু ব্যক্তি নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে নানান রকম সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুল আহসান, বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত প্রমুখ।
কেএইচ/কেএসআর/জেআইএম

2 hours ago
5









English (US) ·