গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত তিনজনের মধ্যে একজন ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায় বসবাসরত নাঈম হোসাইন। তিনি ফেনী সাউথ ইস্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মীর মোতাহার হোসেন শাহীনের ছেলে।
নাঈমের আকস্মিক মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ তার স্বজনরা। প্রতিবেশীরা জানান, নিহত নাঈম ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০১৯ সালে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।
নাঈমের চাচাতো বোন সুরভী বলেন, আমরা এ মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। আকস্মিক এমন ঘটনায় পুরো পরিবার শোকে স্তব্ধ। এতো তাড়াতাড়ি ভাইকে হারাবো কখনো ভাবিনি। পরিবারে দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে নাঈম দ্বিতীয় সন্তান। তার বড় ভাই শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। নাঈম খুবই নম্র-ভদ্র ও মেধাবী ছিল। তাকে নিজ গ্রামের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের ফতেহপুর এলাকায় দাফন করা হতে পারে। মরদেহ ফেনীতে পৌঁছালে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
নাঈমের প্রতিবেশী ফেনী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৪ বছর তাদের বাসায় ভাড়া ছিলাম। আমরা পাশাপাশি ফ্লাটে থাকতাম। নাঈমকে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, এতো ভদ্র ও বিনয়ী ছিল যা বর্ণনাতীত।
শনিবার সকালে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির তিন শিক্ষার্থী নিহত হন।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/এমএস