পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে গত কয়েক মাস ধরে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরির ঘটনা। গত কয়েকদিন আগে উপজেলার দুটি গ্রাম থেকে এক রাতে দুই কৃষকের গোয়ালঘর থেকে ৬টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া প্রায় দিনই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হাঁস-মুরগি, ছাগল, দোকান ও প্রতিষ্ঠানসহ সড়কের পাশে পড়ে থাকা সরকারি গাছ চুরির ঘটনা। সংঘবদ্ধ চোরচক্র বিভিন্ন বাড়িতে হানা দেওয়ায় অনেকেই রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না।
এসব ঘটনায় জড়িত চোরদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। বিভিন্ন হাটবাজারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ জন্য রাতে সন্দেহজনক লোকজনদের চলাফেরার ওপর নজরদারি বাড়াচ্ছে পুলিশ। ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার দিনমজুর আ. রহিম শেখের ৪টি ও পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের দরিদ্র কৃষক রুহুল আমিন শেখের ২টি গরু নিয়ে গেছে চোর চক্র। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার রাতে পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের রেহিম গাজীর বাড়ির সামনে থেকে সড়কের পাশে বেপারিদের রাখা গাছের গুড় ও কাঠ রাতেই গাড়ি ভরে নিয়ে গেছে চোর চক্র।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, একটি মাদ্রাসা ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান চুরি হয়েছে কয়েকটি। গত ২ মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে চুরির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ বাড়িতে সিঁধ কেটে ও চেতনানাশক স্প্রে প্রয়োগ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী দিনমজুর আ. রহিম জানান, আমি গরিব মানুষ। ধার দেনা করে গরু কিনে লালনপালন করছিলাম। গরুগুলো আগামী কোরবানির ঈদে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু চোরেরা আমার সব শেষ করে দিয়েছে।
এবিষয় ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন জানান, বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চোর চক্রকে গ্রেপ্তারের জন্য থানা পুলিশের অভিযান চলছে।