পুতিন-বাইডেনের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের টেলিফোন বন্ধ

2 days ago 7
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের ঐতিহাসিক হটলাইন এখন আর সক্রিয় নেই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ এ তথ্য জানিয়েছেন।  বুধবার (২০ নভেম্বর) রুশ সংবাদ সংস্থা তাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, হটলাইনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬২ সালে, যখন কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটে স্নায়ুযুদ্ধ চরমে পৌঁছেছিল। সেসময় যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে এবং জরুরি যোগাযোগ নিশ্চিত করতে এই হটলাইন চালু করা হয়। ১৯৬৩ সালের ৩০ আগস্ট দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারা প্রথমবার এই হটলাইনে কথা বলেন। এরপর স্নায়ুযুদ্ধকালে এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে এই হটলাইন সক্রিয় ছিল। তবে বর্তমান সময়ে এই হটলাইন আর কার্যকর নেই। হটলাইন বন্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে দিমিত্রি পেসকভ জানান, দুই দেশের মধ্যে এখন আর ঐতিহ্যবাহী হটলাইন নেই। তবে তিনি জানান, এর পরিবর্তে আরও উন্নত ও সুরক্ষিত একটি যোগাযোগমাধ্যম চালু রয়েছে, যা ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা দেয়। ক্রেমলিনের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট অনুসারে, সর্বশেষ ২০২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পুতিন ও বাইডেন ফোনে কথা বলেছেন। এর পর থেকে দুই নেতার মধ্যে সরাসরি ফোনালাপ হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে সরাসরি যোগাযোগের অনুপস্থিতি বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐতিহ্যবাহী হটলাইনের মতো সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ থাকলে ভুল বোঝাবুঝি ও কৌশলগত ভুলের ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিশেষ করে যখন বৈশ্বিক পরমাণু সংঘাতের হুমকি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তখন এমন যোগাযোগের অনুপস্থিতি বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে পারে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালায় ইউক্রেন। মঙ্গলবার রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় এ হামলা হয় বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে হামলা চালায়। এ হামলার পর থেকে চলমান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক উন্নত করার পথে এই হটলাইন পুনরায় চালু হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read Entire Article